নিউ ইয়র্ক: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ আবারও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জেরুজালেমে বসতি স্থাপন স্থগিত রাখার প্রশ্নে দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে বিশেষজ্ঞরা এ ধারণা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে বসতি স্থাপনের প্রশ্নে দুপক্ষ সিদ্ধান্তে পৌছাতে না পারলে শান্তি আলোচনা সামনে এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম বসতি স্থাপন স্থগিত রাখার সময় রোববার শেষ হচ্ছে। ফিলিস্তিন ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে বসতি স্থাপন স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এখনও কোনো সাড়া দেয় নি।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইহুদ বারাক ওয়াশিংটনে বিবিসি নিউজ অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন শান্তি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সরকারকে ছাড় দেয়ার জন্য তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতেও কোনো ফল আসবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিন বলেছে বসতি স্থাপন কাজ স্থগিত না রাখলে তারা আলোচনায় ফিরবে না।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শনিবার জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে শান্তি অথবা বসতি স্থাপনের মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে। ফিলিস্তিন শান্তি প্রতিষ্ঠায় ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের আহত হাত ইসরায়েলের প্রতি বাড়িয়ে রেখেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে ফিলিস্তিন প্রস্তুত রয়েছে।
তবে ইসরায়েলের বামপন্থি রাজনীতিকদের মতে, ইসরায়েলের উচিত দ্রুত বসতি স্থাপনের কাজ শুরু করা। তবে শান্তির সমর্থকরা বলেছেন, সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রেখে হলেও আলোচনায় যাওয়া উচিত।
এদিকে পশ্চিমতীরের বসবাসরতরা রোববার থেকে বসতি স্থাপনের কাজ শুরু অপেক্ষায় আছে। স্থগিতের ঘোষণা না আসলে তারা নতুন করে কাজ শুরু করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বৃহস্পতিবার শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে বসতি স্থাপন স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
২০ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও এখনও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষ।
পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার ইহুদী বসবাস করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে এদুটি স্থানে বসতি স্থাপন অবৈধ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০