চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখা ভাইরাস ‘মাঙ্কিপক্সের’ নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাসের নতুন নামও মনোনীত করেছে সংস্থাটি।
সংবাদ সংস্থা পলিটিকো এ তথ্য জানিয়েছে।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি বুধবারের প্রথম দিকে ঘোষণা করা হতে পারে। নতুন নামের জন্য পরামর্শ করতে গত গ্রীষ্মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি প্রাথমিক চুক্তি অনুসরণ করে।
মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণেই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি নিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এর আগে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং এলজিবিটি কর্মীরা একইভাবে ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটিকে মাঙ্কিপক্স বলা অশুদ্ধ। বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার জন্য এই নাম ক্ষতিকর।
গত জুন মাসে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে একদল বিজ্ঞানী লিখেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে, এই ভাইরাস আফ্রিকান বলে উল্লেখ করা ও নামকরণ শুধু ভুলই নয়, বৈষম্যমূলক এবং কলঙ্কজনকও বটে।
ডব্লিউএইচও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বব্যাপী সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে। সংস্থাটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং বিভিন্ন দেশ দ্বারা গৃহীত রোগের নাম সুপারিশ করে থাকে।
উল্লেখ্য, গত বছর মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। আর চলতি বছর শুরুর কয়েক মাস পর থেকেই উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বহু দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হতে থাকে। এদিকে ভাইরাসটির জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এমএইচএস