চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকি শহরে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভবনটি কোভিডের নিম্নঝুঁকির আওতায় রয়েছে। বাসিন্দারা নিচতলায় নামতে পারতেন।
তবে বাসিন্দারা বিবিসিকে বলেন, তারা প্রতিদিন খুব স্বল্প সময়ের জন্যই ঘরের বাইরে বের হতে পারতেন এবং তাদের সময়সীমা ছিল খুবই নিয়ন্ত্রিত।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ১৫ তলায় আগুন লাগে এবং তা উপরের তলায় ছড়িয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন নির্বাপন করা হয়।
অনলাইনে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অগ্নিনির্বাপন ট্রাক অপেক্ষা করছে এবং কর্মীরা ভবনটির পাশেই একটি বেড়া সরিয়ে নিচ্ছেন।
অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনলাইনে ৮০০ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানতে চাইছেন যে, ভবনের বাসিন্দারা বাইরে বের হতে পারতেন কি না।
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম উইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, জরুরি পথ খোলা ছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। প্রতিটি দুঃখজনক ঘটনাই অমিক্রনের চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক।
দুর্ঘটনার শিকার ভবনটির কাছে থাকা এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, কোভিডের নিম্ন ঝুঁকিতে থাকা ভবনটির বাসিন্দাদের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে চলতে হয়। প্রতিদিন তারা খুব স্বল্প সময়ের জন্য অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, তিনি ৭ আগস্ট থেকে বাড়িতে থাকার নিয়ম মেনে চলছেন। জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দারা অনুমতি ছাড়া নিচতলায় যাওয়ার সাহস দেখান না। ভবনের গেট খোলা থাকাও আইনের লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, গতকালের দুর্ঘটনার পর আমরা অবাক এই নিয়ে যে, আমাদের এখনো উইচ্যাট গ্রুপে দেওয়া কর্মকর্তাদের নোটিশ মেনে চলতে হচ্ছে।
নিরাপত্তা মানের অভাবে চীনে প্রায়ই অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে অ্যানিয়াং শহরের একটি কারখানায় ৩৮ জন মারা যান। এতে কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক ঢালাইয়ে কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের ওপর দায় চাপায়।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫
আরএইচ