ঢাকা: রাজধানীর গুলশান, তেজগাঁও এবং মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্লকরেইড চালাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে এসব এলাকার আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে তল্লাশি চালনো হচ্ছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিসহ সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
এদিন রাতে প্রথমে রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় ব্লকরেইডের খবর পাওয়া যায়। জঙ্গি অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে এসব এলাকার কয়েকটি হোটেল এবং মেস ঘিরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ব্লকরেইডের অংশ হিসেবে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি (উপ-কমিশনার) মো. আব্দুর আহাদ জানান, জঙ্গি অবস্থান করছে সন্দেহে গুলশান ও বনানী এলাকায় ব্লকরেইড চলছে। কয়েকটি হোটেল এবং মেস ঘিরে অভিযান চলছে।
বনানী কাকলী এলাকায় আবাসিক হোটেল ঘিরে অভিযান প্রসঙ্গে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল আদালত থেকে পালানো জঙ্গি এবং তাদের অনুসারীরা এই এলাকায় রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রাজধানীর বনানীর কাকলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছি। কাকলী এলাকার হোটেল এবং মেসে আমাদের অভিযান চলছে।
এদিকে পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মতিঝিল দৈনিক বাংলা মোড়ে হোটেল রহমানীয়াতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের খবর পাওয়া গেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনাক্রমে রাত থেকে রাজধানীতে ব্লক রেইড শুরু হয়েছে। গুলশান, তেজগাঁও, মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড চালানো হচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো সব ইউনিট প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের প্রতি এক আদেশে বলা হয়, ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে পুলিশ।
ওই আদেশে বলা হয়, ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
পিএম/এএটি