ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নামে অ্যাডভোকেট, পেশায় ঘটক!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
নামে অ্যাডভোকেট, পেশায় ঘটক!

রাজশাহী: পেশায় ঘটক কিন্তু পরিচয় দিয়ে বেড়ান অ্যাডভোকেট হিসেবে। অথচ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হননি।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে এভাবেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। রাজশাহীতে এমনই এক ভুয়া অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন রাজশাহী জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট আতিকুজ্জামান নাসিম।

মামলার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ঘটক আসলাম মো. ইসলাম ‘মডার্ন বাঁধন ঘটক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। মহানগরের সপুরা এলাকার রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিপরীতে তার অফিস। ওই অফিসের সাইনবোর্ডে তিনি নিজেকে অ্যাডভোকেট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি নজরে এলে গত ১৭ নভেম্বর মামলার বাদী রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবী আতিকুজ্জামান নাসিম কথা বলতে গেলে অভিযুক্ত আসলাম তার ওপর চড়াও হন।

এ সময় বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি জানতে পারেন ওই ব্যক্তি অ্যাডভোকেট নন এবং এই পরিচয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করেন। এরপর ঘটকের পাশে অ্যাডভোকেট নাম ব্যবহার নিয়ে রাজশাহী বার সমিতিতে গত ২০ নভেম্বর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট নাসিম। পরে ২১ নভেম্বর বার সমিতির পক্ষ থেকে বাদীকে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর তিনি মামলা দায়ের করেন।

জানতে চাইলে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আতিকুজ্জামান নাসিম বলেন, ঘটক আসলাম তার নামের পরে অ্যাডভোকেট লিখে রেখেছেন। এই পদবি ব্যবহার নিয়ে কথা বললে তিনি আমাকে অশ্লীল-অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আইনজীবীদের সম্পর্কেও কটূক্তি করেন। তিনি আইনজীবী কিনা, তা চ্যালেঞ্জ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

অভিযুক্ত ঘটক আসলাম মো. ইসলাম স্বীকার করেছেন তিনি বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত নন। তিনি বলেন, আমি আমাদের ঘটক সমিতির অ্যাডভোকেট। সব রকম আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করেছি। লোকনাথ স্কুল থেকে এলএলবি পাস করেছি। বার কাউন্সিলেও পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারিনি।

তবে লোকনাথ স্কুলে এলএলবি পড়ানো হয় কিনা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ থেকে পাস করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।