ঢাকা, বুধবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ন্যায়-বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হবে: ডা. সায়েদুর রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:০১, আগস্ট ২৬, ২০২৫
ন্যায়-বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হবে: ডা. সায়েদুর রহমান কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান/ছবি: জি এম মুজিবুর

যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়ভিত্তিক, বিজ্ঞানসম্মত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্য সেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ওষুধ কিংবা স্বাস্থ্য সেবার সব বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার, আমরা স্পষ্টত জনগণের পক্ষে। এই বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নাই। আমরা যে কয়দিন দায়িত্বে থাকবো, আমাদের প্রতিটা কাজে এটা রিফ্লেক্ট করে দিয়ে যাব।

ওষুধের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা একটা যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়ভিত্তিক, বিজ্ঞানসম্মত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বা কৌশল নির্ধারণ করতে চাই। যেখানে উৎপাদন খরচ, গবেষণার খরচ, খুচরা বিক্রেতার কমিশন, শিল্প সম্প্রসারণের জন্য পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ সার্বিকভাবে ওষুধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিকাশ এবং ন্যায্য মুনাফার সুযোগ রেখে জনগণের জন্য ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের জন্যে ভারসাম্য পূর্ণ বন্দবস্ত আনতে চাই। ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষে ভারসাম্য পূর্ণ বন্দবস্ত এবং সেখানে অবশ্যই ওষুধ শিল্পের জন্য বিকাশের জন্য ন্যায়সঙ্গত মুনাফার সুযোগ থাকবে।

ডা. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, অন্তত একশোটা ওষুধ পাবেন, যেটার মূল্য পার্থক্য ১০ থেকে ৫০ শতাংশ। আমরা বিজ্ঞানসম্মতভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নিয়ে ওষুধের মূল্য তৈরি করবো। অতএব, আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করে কাজ করব। আমরা কাউকে, কোনো শিল্প, কোনো ব্যক্তির প্রতি হস্টাইল না।  

চিকিৎসকদের বেতন বৈষম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে মেধাবী ছেলেরা ডাক্তারি পড়ে। আগে এটি পুরোপুরি সত্য ছিল, এখনও অনেকটা সত্য। কিন্তু চিকিৎসা পেশায় থেকে টিকে থাকার জন্য যে সুবিধা প্রয়োজন তা নেই। আমেরিকা-ইউরোপে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের মধ্যে থাকলেও, বাংলাদেশে একজন চিকিৎসকের গড় বেতন এখনো মাত্র ৩০ হাজার টাকা। সরকারি চাকরিতে চিকিৎসকদের বেতন যদি অন্তত ৬০ হাজার টাকা করা যায়, তবে বেসরকারি খাতও বাধ্য হবে অন্তত ৫০ হাজার দিতে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর এবং অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।

আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।