ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পেঁয়াজ-চিনির দাম বেড়েছে, কমেছে আলুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
পেঁয়াজ-চিনির দাম বেড়েছে, কমেছে আলুর

ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, আটা ও চিনির। কমেছে আলুর দাম।

অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা ও টমেটো ১০০-১২০ টাকা।  

শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, সবজির সরবরাহ ভালো। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতো। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। সাত দিন আগেও কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

১১ নম্বর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, আলুর উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমেছে। সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।  

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনির কেজি ১৪০ টাকা।

বাজারে খোলা আটার কেজি ৬৫ টাকা। কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। প্যাকেটজাত আটা কেজিপ্রতি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।  

সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।  

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।  

বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ৮৫০-৯০০ টাকা।  

ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। কমেছে সোনালী মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।  

মুরগির বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, সরবরাহ ভালো থাকায় কম দামে মুরগি বিক্রি করছি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম হলে দাম বাড়ে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২

এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।