নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না—এমন বিধান রেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন না, সেটা আরপিও-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক হচ্ছে—আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করেন। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলেছেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, আসছেন না—আদালত পলাতক ঘোষণা করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে পলাতক হয়।
আইন উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীদের দেশে ও বিদেশে যত আয় এবং সম্পত্তি আছে, তার বিস্তারিত বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং তা সবার উন্মুক্ত থাকবে।
আরপিওর সংশোধনীতে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘না’ ভোটের একটা বিধান করা হয়েছে। যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবেন... আপনাদের ২০১৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। ১৫৩ বা ১৫৪টি আসনে একজন প্রার্থী ছিল, সাজানো নির্বাচন ছিল। এই ধরনের নির্বাচন যেন আর না হয়। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে যারা ভোটার আছেন, তারা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন—যে এই প্রার্থী তাদের পছন্দ না। তখন সেখানে আবার নির্বাচন হবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এমইউএম/এমজেএফ