ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছেলের খোঁজ নেই, বাবার ধারণা পাচার হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
ছেলের খোঁজ নেই, বাবার ধারণা পাচার হয়েছে

ঢাকা: গত ১৮ দিন ধরে খোঁজ নেই মো. ইসমাইল হোসেন আরিফের মাদরাসা পড়ুয়া সন্তান মো. মিরাজ আহমেদ (১১)। আরিফ ধারণা করছেন তার ছেলেকে পাচার করা হয়েছে।

মিরাজকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি মিরাজ নিখোঁজ হয়। তাকে শেষবার কমলাপুরে দেখা গেছিল।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরিফের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার ছেলে চলতি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। পরদিন শুক্রবার তিনি মিরাজের মাদরাসায় ফোন করেন। জানতে পারেন, মিরাজ সেখানে যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা আমার সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মিরাজকে দেখা যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মুসলিম মর্ডানের পকেট গেট দিয়ে বের হতে দেখা যায় তাকে। গেটটি আমাদের বাসার পাশে। এ সময় মিরাজের হাতে একটি কেক ছিল।

আরিফের তিন সন্তানের মধ্যে মিরাজ মেজ। সে ২৮ পারা কোরআনের হাফেজ এবং কচুক্ষেতে মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। সেখানকার বোর্ডিংয়ে বসবাস করত মিরাজ। মাদরাসার শিক্ষকরা কখনও শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলেন না। সামনের রোজা, তাই বাকি থাকা পারাগুলোর পড়া শেষ করতে হয়ত চাপে রাখতে পারে। হয়ত মিরাজ সে চাপ সহ্য করতে পারেনি। এ কারণে সে লুকিয়ে থাকলে ফোন করত। কিন্তু তা হয়নি। মিরাজ হয়ত পাচারকারীর হাতে পড়েছে, বলেন আরিফ।

মিরাজ যে কমলাপুরে গেছে, তার একটি ফুটেজ আছে। ওই এলাকার এক দোকানি মিরাজকে দেখেছেন। প্রতিদিন মিরাজকে খুঁজে আরিফ ১ ঘণ্টা কমলাপুরে সময় কাটান।

আরিফ বলেন, মিরাজের নিখোঁজের পরদিন আমি ভাষানটেক থানায় অভিযোগ করতে যাই। সেখান থেকে আমাকে বলা হয় একদিন অপেক্ষা করতে, এর মধ্যে যদি ছেলের খোঁজ পাওয়া যায়। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) আমলে নেয়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমার সিনিয়র কর্মকর্তাদের দিয়ে অনুরোধ করিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব-৪) অভিযোগ করি।

আরিফের অভিযোগ, তিনি থানায় ও র‌্যাবের কাছে ফোন করলে উল্টো তার কাছ থেকেই তথ্য চায় সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া মিরাজকে খুঁজে তাদের আর কোনো গতি দেখা যাচ্ছে না।

মিরাজদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল সাদা-কালো ডোরাকাটা পাজামা, গোলাপি রঙয়ের টি-শার্ট, গলায় মাফলার। মিরাজের উচ্চতা সাড়ে ৪ ফুট, মুখমণ্ডল গোলাকার। সে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। কেউ তাকে খুঁজে পেলে নিকটস্থ থানা বা ০১৭৬৩৮৭৮৯৬৯, ০১৭৯৪১৩৩২২৮ নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন আরিফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।