ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাবাকে কুপিয়ে খুন করে ভুট্টা ক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন সুজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
বাবাকে কুপিয়ে খুন করে ভুট্টা ক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন সুজন গ্রেফতার ঘাতক সুজন আলী (ডানে)

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে প্রকাশ্য দিবালোকে বাবাকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন ছেলে সুজন আলী (৩৫)। কিন্তু ধরা পড়তেই হলো তাকে।

 

হত্যাকাণ্ডের পর ৭ ঘণ্টার মাথায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে তাকে ওই ভুট্টা ক্ষেত থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সুজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন তাকে ভুট্টা ক্ষেতে পালিয়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়েই ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হানের নেতৃত্বে একটি টিম ঘাতককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গাংনী থানা পুলিশের তদন্ত অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সুরতহাল রিপোর্ট ও  ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেগ মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন তারা।  

শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কৃষক আফেল উদ্দীন (৬৫) কে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তার ছেলে সুজন আলী। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

নিহত আফেল উদ্দীন গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের কালিতলাপড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মণ্ডলের ছেলে।

জমির ভাগ নিয়ে ঝগড়ার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে খুন করেন সুজন - স্থানীয়দের বরাতে এমনটাই জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান।

তিনি বলেন, সকালে সুজনের মা ও বাবার সঙ্গে নানা বাড়ির জমির ভাগ নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল। এসময় আফিল উদ্দীন তার স্ত্রী তহমিনাকে বাবার বাড়ির ভাগ পাওয়া তিন কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য চাপ দেন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলেন, জমি বিক্রির টাকা না নিয়ে এলে আজ রাতেই জবাই করে ফেলব। এ কথা শোনার পরপরই ঘর থেকে হাসুয়া এনে বাবাকে উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে সুজন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম বলেন, কথা কাটাকাটির জেরে কয়েক বছর আগেও বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছিলেন সুজন। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এবার ঘটনাস্থলেই নিহত হলেন তিনি।

সুজন অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও তথ্য দেন মহিবুল ইসলাম।  

স্থানীয় এই ইউপি সদস্য বলেন, সুজন ভালো ছাত্র ছিলেন। এসএসসি পাশের পর কাজীপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরে স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তার বেপরোয়া চলাচল দেখে স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তাকে বেশ কিছুদিন পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন পরিবারের লোকজন।

>>> পড়ুন প্রকাশ্য দিবালোকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এনএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।