ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারক গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারক গ্রেফতার

বগুড়া: বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে জাকির হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়।

জাকির হোসেন বগুড়া গাবতলী উপজেলার চক সেকেন্দার এলাকার বাসিন্দা।

জেলা ডিবি পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বগুড়া সদরের বুজরুক মাঝিরার ইকবাল হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় আব্দুর রাজ্জাক জানতে পেরে তিনি ইকবাল হোসেনের বাড়িতে যান। এরপর তার ছেলেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় ইকবাল হোসেন বলেন, তার ছেলে মেধাবী। চাকরি হলে এমনিতেই হবে। তাছাড়া এখন পুলিশের চাকরিতে টাকা প্রয়োজন হয় না।  

এ কথা শোনার পর আব্দুর রাজ্জাক তাকে বিভিন্ন প্রলোভন এবং ভয়ভীতি দেখান। এক সময় ইকবাল হোসেন রাজি হয়ে যান। পরে তার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই, শারীরিক, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন। এ খবর পেয়ে প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক তার সহযোগী জাকির ও সানাকে নিয়ে ইকবাল হোসেনের বাড়িতে যান। এসময় জাকির হোসেন নিজেকে পুলিশের বড় কর্মকর্তা বলে দাবি করেন এবং তার ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দদেওয়ার কথা বলেন। তিনি চাইলেই তার ছেলেকে মেডিকেল পরীক্ষায় বাদ দিতে পারবেন বলেও ইকবাল হোসেনকে ভয় দেখান। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।
এরপর ভয়ে গত ২১ মার্চ সদরের চন্ডীহারা মহাসড়কের পাশে একটি হোটেলে ইকবাল হোসেন তার ছেলের চাকরির জন্য ওই প্রতারকদের নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং স্বাক্ষরসহ মোট ১৪ লাখ টাকার চেক দেন। এসময় তিনি তার ছেলের লিখিত পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি তাদের দিয়ে দেন। পরে সন্দেহ হলে ইকবাল হোসেন তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে তারা কেউ পুলিশ কর্মকর্তা নন এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরে তিনি বগুড়া সদর থানায় তাদের নামে মামলা দায়ের করেন।  

এরপর বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শহরের সপ্তপদী মার্কেট থেকে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের ফটোকপি ও আত্মসাতের নগদ তিন লাখ টাকা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মো. সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গ্রেফতারকৃত জাকিরের নামে সদর থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জাকিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া এ প্রতারণার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলায় অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
কেইউএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।