ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘হারুনকাণ্ড’ তদন্তে আরও সময় চেয়েছে কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
‘হারুনকাণ্ড’ তদন্তে আরও সময় চেয়েছে কমিটি

ঢাকা: শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও ৭ দিন সময় চেয়েছে কমিটি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আরও ৭ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কমিটি আরও ৭ দিনের সময় চেয়েছেন। ডিএমপি কমিশনার আবেদনটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।

এদিকে, তদন্ত কমিটি শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের দায় পেয়েছে বলে জানা গেছে।

একইসঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে।

প্রথমে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় বাড়তি ৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি। এর ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার আরও ৫ দিন সময় দেন। বর্ধিত সময়ের শেষদিন ছিল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। এরমধ্যেই তদন্তকাজ শেষ করার কথা জানা গেলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আরও ৭ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার) সানজিদা আফরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

কমিটিকে প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্ত শেষ না করতে পারায় আরও পাঁচ দিন সময় বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
পিএম/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।