ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোশাকশ্রমিক রাসেলের মৃত্যুতে নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্টাফ করেপসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
পোশাকশ্রমিক রাসেলের মৃত্যুতে নিন্দা ও প্রতিবাদ ফাইল ছবি

ঢাকা: গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে রাসেল হাওলাদার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক জরুরি সভা থেকে সংগঠনটির সমন্বয়কারী তাসলিমা আখ্তার ও সদস্য সচিব সাদেকুর রহমান শামীম এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মজুরির দাবিতে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে শ্রমিকদের নানান বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভকে দমন করার জন্য পুলিশ গুলি চালিয়েছে, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। মৃত রাসেল হাওলাদার মাত্র ২৬ বছরের একজন তরুণ, তার মুত্যু মেনে নেওিয়া যায় না।

শ্রমিকনেতারা আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি অথচ দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। সাধারণ যৌক্তিক নিয়মেই মজুরি বাড়ার কথা ছিল। ৫ বছর পর মজুরি বোর্ড গঠন হয়েছে এবং সেটার ৬ মাস পার হলেও মজুরি বোর্ড মজুরি এখনো ঘোষণা করেনি। নির্বাচনী ডামাডোলে শ্রমিকদের মজুরি আরও অনিশ্চতায় পড়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজীপুরের শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত ৭ দিন ধরে আন্দোলন করছে। অথচ পুলিশ আজকে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বিচারে ও অযৌক্তিকভাবে গুলি করে একজন শ্রমিকের জীবন কেড়ে নিল।

তারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যখন দেশে অনিশ্চয়তা তখন শ্রমিকদের আরও ভয়ঙ্কর অবস্থায় ফেলা হয়েছে। মজুরি বোর্ড গঠনের ৬ মাস পার হয়ে ৭ মাস হতে চললো, সেখানে যথাসময়ে মজুরির ঘোষণা না দিয়ে বোর্ড টালবাহানা করছে। নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে শ্রমিকদের অনিশ্চয়তায় ফেলে যারা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করতে চায়, তারা মোটাদাগে অর্থনীতি ও শিল্পের বিকাশ চায় না। অবিলম্বে শ্রমিকদের জীবনমান ও বর্তমান বাজার অনুযায়ী ২৫,০০০ টাকা মজুরির দাবির প্রেক্ষিতে নতুন মজুরি ঘোষণা করুন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শ্রমিক রাসেল হাওলাদারের মৃত্যু বৃথা যাবে না। গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনে তাকে সবাই মনে রাখবে। অতিসত্বর রাসেল হাওলাদারের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। সেই সাথে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণভাবে তোলা অন্যান্য দাবিদাওয়া গুলো মেনে নিতে হবে।

মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের এই জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শামীম ইমাম, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি এ এম ফয়েজ হোসেন, গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।