ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় চতুর্থ বিয়ে করলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা কর

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
ঢাকায় চতুর্থ বিয়ে করলে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা কর

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ বিয়ে করলে তাকে বিবাহ নিবন্ধন ফি (কর) দিতে হবে।  

আদর্শ কর তফসিল-২০১৬ অনুযায়ী এ কর দিতে হবে।

গত জানুয়ারি থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

ডিএসসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে হলে করপোরেশনকে ৫০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। আর প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা কর দিতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, আদর্শ কর তফসিল অনুসরণ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংস্থার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮টি বিবাহ নিবন্ধন করা হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের ২ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির রাজস্ব বিভাগ সূত্র বলছে, তাদের আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ বিয়ে করলে এই কর করপোরেশনকে দিতে হবে। এ-সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ফরম এরই মধ্যে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিয়ে পড়ানোর সময় কাজী এই ফরম পূরণ করে ফি আদায় করবেন। পরে করের এই টাকা তিনি করপোরেশনের তহবিলে জমা দেবেন।

সংস্থাটির রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা  জানান, আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুমোদনের পরই এ কর নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ২০২৪ সালে এসে তা বাস্তবায়ন করা হলো। এখন থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় বিয়ে করার সময় সিটি করপোরেশনকে কর দিতে হবে।

আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬-এর ১০(৪)-এর ১৫২ নম্বর ক্রমিক অনুযায়ী প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা এবং প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকে পাঁচ হাজার টাকা কর দিতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি বলছে, করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ তারা নিয়েছে। এর ফলে বিয়ে নিবন্ধনসংক্রান্ত বিষয়াবলি যেমন শৃঙ্খলিত ও তথ্য সমৃদ্ধ হবে, তেমনি ভবিষ্যতে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারে বিশেষত বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সরবরাহ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সহায়ক হবে। একই সঙ্গে বাড়বে সংস্থার রাজস্ব আদায়ও।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
এইচএমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।