ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তীব্র গরমের মধ্যে পানির সংকট, ভোগান্তি নগরবাসীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
তীব্র গরমের মধ্যে পানির সংকট, ভোগান্তি নগরবাসীর

ঢাকা: কিছু দিন ধরে দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই অসহনীয় গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত।

এর মধ্যে রাজধানীর কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। এ নিয়ে ভুগতে হচ্ছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, বাড্ডা, জুরাইন, মাতুয়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে পানির সংকট এবং কিছু এলাকায় অপরিষ্কার পানির পাওয়ার অভিযোগ মিলেছে।  

এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গরমে স্বস্তির জন্য যখন গোসল করা, বারবার হাত-মুখ ধোয়ার প্রয়োজন পড়ছে, তখন পানির এমন সংকটে ভুগতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের অস্বস্তি বেশি। রান্নাবান্নায়ও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

মগবাজারের ওয়্যারলেস এলাকার বাসিন্দা আফরোজা বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে পানির সমস্যা করছে। ঠিকমতো পানি আসছে না। মোটর ছাড়লে দেখা যায় পানি নেই। দিনের বেলায় এই সমস্যা বেশি হয়। তবে রাতে পানি আসে। তখন পানি ট্যাংকে তুলে রাখতে হয়। এই গরমে দিনের বেলায় পানি না থাকার কারণে রান্না-বান্নাসহ অন্যান্য কাজ করতে সমস্যা হয়।  

পূর্ব রামপুরার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী রাজেশ গৌড়। তিনি বলেন, আমার বাসায় গত দুই মাস যাবত পানির সমস্যা চলছে। গত কয়েকদিনে তাপদাহের কারণে সেটি এখন চরমে পৌঁছেছে। আগে দিনে চারবার মোটর ছাড়লেও এখন মাত্র দুইবার মোটর ছাড়া হয়। বাড়িওয়ালা বলছেন, ওয়াসার লাইনে পানির সরবরাহ কম। আলাদা মোটর দিয়ে পানি টেনে আনতে হয়। এই গরমে যেখানে দুই-তিনবার গোসল করার প্রয়োজন পড়ে, সেখানে পানির সমস্যার কারণে একবারও ঠিকমতো করা যায় না। যখন পানি আসে তখন ড্রামে পানি ভরে রাখতে হয়। এ দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ করলেও গোসল করা সম্ভব হয় না।  

তীব্র গরমে পানির চাহিদা বেড়েছে জানিয়ে ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৬ এর খিলগাঁও তালতলা পানির পাম্প ওয়াটার এটিএম বুথের অপারেটর মো. ওমর ওসমান গনি বলেন, পাম্পে পানির কোনো সংকট নেই। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াটার এটিএম বুথে বিক্রি বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার লিটার বিক্রি হতো, সেখানে এখন প্রতিদিন ২১ থেকে ২২ হাজার লিটার পানি বিক্রি হয়। বর্তমানে সে হিসেবে প্রতিদিন পানি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মত।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাহিদার তুলনায় বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের। শীতকালে রাজধানীতে দৈনিক পানির চাহিদা থাকে ২১০ কোটি লিটার থেকে ২৪০ কোটি লিটার। গরমে যা বেড়ে হয় ২৬০ কোটি লিটার। ওয়াসার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৯০ কোটি লিটার।

ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেখানে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
ইএসএস/এমএমআই/এসসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।