ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই বৃষ্টি, সাভারের সড়ক-শাখাসড়ক পানির নিচে

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই বৃষ্টি, সাভারের সড়ক-শাখাসড়ক পানির নিচে

সাভার (ঢাকা): ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই সাভারের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ ঝুম বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে সড়কসহ বেশ কিছু শাখা সড়ক।

এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড থেকে জামগড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া সংলগ্ন প্রায় সব শাখা সড়কে জমেছে হাঁটু পানি। এতে করে কর্মস্থলে যেতে ও আসতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা।

পোশাক শ্রমিক আব্দুল হাই বলেন, আমি জামগড়া ফকিরপাড়া এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তার ওপর রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকালে বাসার সামনের সড়কের হাঁটু পানি পেরিয়ে কারখানায় কাজে যাওয়ার জন্য বের হই। আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কও দেখি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রিকশা-ভ্যানও মিলছে না। অনেক কষ্টে কারখানায় এসেছি। দুপুরে এমন ময়লা পানি অতিক্রম করে খেতে যাবো না। একবারে ছুটি হলেই বাসায় ফিরবো।

অপর শ্রমিক পোশাক শ্রমিক তাসলিমা বলেন, শুধু ঘূর্ণিঝড় রিমাল নয়, সামান্য বৃষ্টিতেই এসব এলাকার সড়ক-শাখাসড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই এলাকায় বসবাসের শুরু থেকেই আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি। বৃষ্টি হলেই আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। ময়লা পানি দিয়ে সড়ক পার হওয়া যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আমাদের ভুগতে হয়।

আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেই এই সড়কটি তলিয়ে যায়, কমে সাধারণ মানুষের চলাফেরা। ফলে বেচা-বিক্রি হয় না বললেই চলে। বৃষ্টি হলেই আমাদের কপাল পোড়ে। তবে সড়কের পানি যদি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের কোনো ধরনের সমস্যা হতো না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের যত ভোগান্তি।

সড়কটি দিয়ে চলাচল করা স্মার্ট পরিবহনের চালক আল-আমিন বলেন, এই সড়কটির কথা বলে লাভ নেই। প্রায় ১০ বছর ধরে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই। শুরু থেকেই দেখে আসছি এমন অবস্থা। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাভারেও বৃষ্টি হচ্ছে রাত থেকেই। সেই বৃষ্টির পানিতে সড়কটি তলিয়ে গেছে। ফলে গাড়ি চালাতেও কষ্ট হয়। এই পানি নিষ্কাশন হতে কত দিন লাগবে তা বলা যায় না। এই ভোগান্তি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

এদিকে সড়কটি দিয়ে মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। এর আগেও পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কটির আশেপাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি এক বছরের মধ্যে এই ভোগান্তি আর থাকবে না। সড়কটিতে শুধু বৃষ্টির পানি নয়, বিভিন্ন পোশাক কারখানার পানিও ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই সড়কে পানি জমে থাকে। তবে আমরা পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।