ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাবেক পৌর মেয়র আক্কাসসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
সাবেক পৌর মেয়র আক্কাসসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীসহ তিনজনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৃথকভাবে আয়কর ও ভ্যাটের ২২ লক্ষাধিক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দুটি করেছেন।

 

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক ফজলুল বারী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পৃথক এ মামলা দুটির তত্ত্বাবধানে থাকা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-পরিচালক ফজলুল বারী বলেন, মামলা দুটির তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলসহ দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দায়েরকৃত মামলায় সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী ছাড়াও বাঘা পৌরসভার সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে-পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা পৌরসভা) লিয়াকত আলী ও বাঘা উপজেলার বাসিন্দা ইজারাদার মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের মামলায় তাদের নামে পৃথকভাবে একটি করে মামলা হলেও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীকে উভয় মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপি ও বিশেষ বরাদ্দের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৭৮টি প্রকল্পের ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৮৬ টাকার অনুমোদন পায় বাঘা পৌরসভা। বাঘা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী ও তৎকালীন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে-পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা পৌরসভা) লিয়াকত আলী পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পের ওই টাকার বিপরীতে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ টাকা আয়কর ও ভ্যাট বাবদ কেটে নেওয়ার নামে শুধু ট্রেজারি চালানের পাতায় ও চেকের পাতায় লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করে রাখেন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে তা জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের নামে মামলা করেছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী।

এছাড়া দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- ২০০৬ সালের ৪ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আক্কাছ আলী বাঘা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ২০১৬ সালে সিএনজি, টেম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড চলাচলের ফি আদায় এবং বহিরাগত ট্রাক/মাইক্রোবাস সিএনজি, টেম্পু, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের টোল আদায়ের জন্য ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে দুই জনের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ায় এক বছরের জন্য স্ট্যান্ডের ইজারা পান মাইনুল ইসলাম। কিন্তু ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী ইজারার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না করে ইজারাদার মাইনুল ইসলামকে ওই স্ট্যান্ড থেকে টোল আদায়ের অনুমতি দেন তৎকালীন পৌর মেয়র আক্কাস আলী। এর পাশাপাশি তারা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ইজারা থেকে পাওয়া ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্তের পর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তি যোগ্য এ অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তাদের নামে মামলা করে দুদক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।