বগুড়া: বগুড়ার গাবতলীতে ছয়জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান যুবদল নেতা হৃদয় হোসেন গোলজারসহ পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গাবতলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন গাবতলী উপজেলার চামুরপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান।
পুলিশ জানায়, চাকলা গ্রামের বেলুজ মণ্ডলকে ভিয়েতনামে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভ্রমণ ভিসায় পাঠায় চামুরপাড়া গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল হান্নান। সেখানে চাকরি না পেয়ে বেলুজ মণ্ডল দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে হান্নান টালবাহানা শুরু করে। গত শনিবার সকালে হান্নান নাড়ুয়ামালা গেছে বেলুজ মণ্ডলের লোকজন হান্নানকে অটোরিকশাসহ ধরে নিয়ে তার বাড়িতে আটকে রাখেন। এ খবর পেয়ে হান্নানের বাড়ি থেকে লোকজন বেলুজ মণ্ডলের বাড়িতে গেলে নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় হোসেন গোলজার তার সহযোগীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় হৃদয় হোসেন গোলজার ও তার লোকজন হান্নানসহ তার বাড়ি থেকে আসা লোকজনকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হান্নানের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যুবদল নেতা ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে গাবতলীর চাকলা গ্রামের বেলুজ মণ্ডল ও তার ছেলে শুভ এবং যুবদল নেতার সহযোগী আনিছার ও রেজাকে।
এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। হান্নানের অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি আশিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
আরআইএস