ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘জাল যার জলা তার’- এ নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যাতে সরকারি জলমহাল ইজারা পান সে ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অষ্টম কার্য-অধিবেশন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ার তৈরি, বিপণন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করায় অভিযান জোরদার করতে হবে। জলাশয় পুনঃখনন, অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারি স্থাপনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশ নিতেও বলেছি।
হাওর অঞ্চলে প্রজননকালে এক মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি নিবিড় মনিটরিং করার নির্দেশও দেন তিনি।
তিনি বলেন, সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। জুলাই-আগস্টে তালিকাভুক্ত শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তা ও জীবনমান উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে জড়িত করতে হবে।
এছাড়া মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর শাস্তির বিধান সংশোধনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যাতে শাস্তি আরোপ করতে পারেন সেভাবে সংশোধন করা হচ্ছে।
এছাড়া মংস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর যথাযথ প্রয়োগে সবার সহযোগিতা চান উপদেষ্টা।
দেশীয় প্রজাতির মাছ, গবাদিপশু পালনে কৃষককে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ডিসিদের পতিত জলাশয় মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। হাওরাঞ্চলের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণসহ মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।
বিদ্যমান তালিকা থেকে অ-মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত জেলেদের অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
জিসিজি/এসআইএস