ঢাকা, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার দাবি অনুষ্ঠানে অতিথিরা

ঢাকা: শিশু-কিশোর ও তরুণদের নাগালের বাইরে নিতে সিগারেটের প্রতি শলাকার দাম সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার দাবি জানিয়েছে তরুণ চিকিৎসকরা।

দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত তরুণ চিকিৎসকরা জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।

শনিবার (১৫ মার্চ) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে তামাক পণ্যের ব্যবহার হ্রাসকরণে তরুণ চিকিৎসকদের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন।  

কর্মশালায় হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিত্যপণ্যের তুলনায় বাংলাদেশে তামাক পণ্য অত্যন্ত সস্তা। ফলে শিশু-কিশোর ও তরুণরা সহজেই এ ক্ষতিকর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাই তাদের নাগালের বাইরে নিতে তামাক পণ্যের ওপর কার্যকর কর ও মূল্য বাড়াতে হবে।

কর্মশালায় আরও বলা হয়, বর্তমানে সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাই আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্র করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হলে শিশু-কিশোর ও তরুণরা ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে প্রতি শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন দাম ১ টাকা করার দাবি জানানো হয়। এটি বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় সন্ধানীর কেন্দ্রীয় কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মোতালিব শান্ত বলেন, চিকিৎসক হিসেবে আমাদের তামাকের ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামাক পণ্যের ক্ষতি সম্পর্কে জোরালো প্রচারণা চালাতে হবে। শিশু-কিশোর ও তরুণদের হাতের নাগালের বাইরে নিতে তামাক পণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

আজকের কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যয়নরত তরুণ চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে রোগীদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং তামাক পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর ও মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানান।

এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার ও কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।