পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পাথর ভাঙার পয়েন্ট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের পাগলি ডাঙ্গি এলাকায় আবুল কালাম আজাদের পাথর ভাঙা পয়েন্টে শ্রমিকরা মর্টার শেলটি দেখতে পেয়ে খবর দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মর্টার শেলটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সীমান্তের বাংলাবান্ধা বিওপিতে খবর দেন। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মর্টার শেলটি রেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিজিবি সদস্যরা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি ১০ বছর বা তার পূর্বের হবে, মরিচা ধরার কারণে তৈরির সঠিক তারিখ বা তথ্য জানা যায়নি। তবে আমদানি করা ভিনদেশি পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মর্টার শেলটি এসেছে।
বাংলাবান্ধা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এমনও হতে পারে, ভারত বা ভুটানের বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণের সময় পাহাড় কিংবা প্রশিক্ষণ এলাকায় বিস্ফোরকগুলো ব্যবহার করেছে। সে সময় হয়তো এই মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ না হয়ে পাহাড় কিংবা পানিতে পড়ে যায় এবং মরিচা পড়ে। অনেক বিস্ফোরক আছে যেগুলো প্রশিক্ষণের সময় বিস্ফোরণ হয় আবার কিছু আছে হয় না। আরও ধারণা করা হচ্ছে, এই মর্টার শেলটি প্রশিক্ষণের একটি অংশ ছিল। যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলটি পাওয়া গেছে তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, বিজিবির মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে। এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে (বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট) জানানো হবে। নিষ্ক্রিয় না করা পর্যন্ত মর্টার শেলটি ওই পাথর সাইডে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হবে।
এর আগে তিনবার একই ইউনিয়নে পাথরের এলাকা থেকে তিনটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হলে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট তা নিষ্ক্রিয় করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
এসআরএস