সাভার (ঢাকা): ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেকড়ের টানে ফাঁকা হতে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চল সাভার। বরাবরের মতো যানজট এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৫ মার্চ থেকে সাভারের পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছুটি হতে শুরু করেছে। ধাপে ধাপে এসব প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত যানজট দেখা যায়নি। তবে আগামী শনিবারের (২৯ মার্চ) মধ্যে সব পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে দাবি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে। এ সময় উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলোকে থেমে থেমে চলতে দেখা গেলেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কেও যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় যানবাহনের কিছুটা চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় যানবাহনগুলোকে থেমে থেমে চলতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ জানায়, গত ২৫ মার্চ থেকে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরছে মানুষ। আজ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ সাভার ছেড়েছে। আজও অনেক পোশাক কারখানা ছুটি হবে। দুপুরের পরে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও যানজট সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা উপহার দেওয়ার জন্য পুলিশ বদ্ধপরিকর।
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) সওগাতুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে এখন পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি। আমরা বলতে পারি এখন পর্যন্ত এবারের ঈদযাত্রা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে নবীনগর ও বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছুটা যানবাহনের চাপ রয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে পারে। মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৫
আরবি