ঢাকা, বুধবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুরে রংধনু ও পাতাকুঁড়ি পার্কে দর্শনাথীদের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৫
সৈয়দপুরে রংধনু ও পাতাকুঁড়ি পার্কে দর্শনাথীদের ভিড়

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত দুটি বিনোদন পার্ক রংধনু ও পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দুটি পার্ক।

সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের পদচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  

উত্তরের এ বাণিজ্যিক শহরে ইসলামবাগে থিম পার্কটি কয়েক বছর ভালোভাবে চলার পর অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। পরে শহরের  সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কেরর পাশে কুন্দল এলাকায় গড়ে উঠা বিনোদন পার্ক রংধনু ব্যবসা সফল হয়ে উঠে। সুন্দর যোগাযোগ ও মনোরম পরিবেশ থাকায় শহর ও বাইরের জেলা ও উপজেলা শহর থেকে দর্শনার্থীরা আসতে থাকেন।

বিশেষ করে ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে রংধনু বিনোদন পার্কটি জমজমাট হয়ে উঠে। এখানে শিশুদের নানা রাইডসহ আছে পিকনিক করার মতো স্থান। পুরো বিনোদন কেন্দ্রটি নানা প্রজাতির গাছ-গাছালিতে ভরপুর। প্রতিবছর পিকনিকের সময় জমজমাট থাকে কেন্দ্রটি আর সারাবছই দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন এ বিনোদন পার্কে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা আবু হোসেন ও শাকেরা পারভীন দম্পতি একমাত্র সন্তান আবির কে নিয়ে ঘুরতে এসে বলেন, এককথায় দারুণ এক জায়গা। অল্প পরিসরে পার্কটি গড়ে উঠেছে। কিন্ত সাজানো গোছানো পার্কটি যে কারোর নজর কাড়বে। গাছের ছায়ায় বসে উপভোগ করা যায় প্রকৃতি। নদীর ধারে এটি গড়ে উঠায় অন্যমাত্রা যোগ করেছে পার্কটিতে।

সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের পাশে বিশিষ্ট ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন গড়ে তোলেছেন পাতাকুঁড়ি নামে আরেকটি বিনোদন পার্ক। সহজ যোগাযোগের কারণে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। এখানে শিশুদের জন্য চড়কিসহ নানা রাইড ও সুইমিং পুলও রয়েছে। অনেকটা নিরিবিলি পরিবেশে হওয়ায় পার্ক সারাবছরই ব্যবসা করছে। তবে মাঝে-মধ্যে অনিয়মের কারণে বন্ধও থাকে। সব মিলে বাড়ির কাছে এ দুটি বিনোদন পার্ক ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের আনন্দের খোরাক জোগাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৫
এমএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।