ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

বিএডিসিতে কৃষিনীতি বাস্তবায়নসহ ৯ দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২২, মে ১, ২০২৫
বিএডিসিতে কৃষিনীতি বাস্তবায়নসহ ৯ দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন মানববন্ধন।

ঢাকা: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অনিয়মিত শ্রমিকরা কৃষি মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘কৃষি ফার্ম শ্রমিক ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭’ বাস্তবায়নসহ ৯ দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আট বছর আগেই এই নীতিমালা কার্যকর হলেও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে তা এখনও বাস্তবায়ন করেনি। মন্ত্রণালয়ের বারবার তাগাদা সত্ত্বেও বিএডিসি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের শোষণ করা এবং তাদের পূর্ণ হাজিরা ও বেতন দিতে বাধা দেওয়া, যা তাদের নিয়মিত হওয়ার পথেও অন্তরায় সৃষ্টি করছে বলে শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন।

শ্রমিকরা বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কৃষিখাতে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তাতে বিএডিসির শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করছে।  

তারা আরও অভিযোগ করেন, বিএডিসির কিছু কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের নীতির বাইরে গিয়ে নিজেদের স্বার্থে একটি ম্যানুয়াল তৈরি করার চেষ্টা করছেন, যা এখনও অনুমোদন পায়নি।

এমতাবস্থায় বিএডিসির অনিয়মিত শ্রমিকরা সরকারের কাছে ৯ দাবি বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানান।

দাবিগুলো হল-
১. কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কৃষি ফার্ম নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭ অবিলম্বে বিএডিসিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. যে-সব শ্রমিক বছরে ২৪০ দিন কাজ করেছেন, তাদের অনিয়মিত থেকে নিয়মিত শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

৩. বিএডিসির শ্রমিকরা যেখানে কর্মরত, সেই স্থানের ওয়েজ অনুযায়ী তাদের মজুরি দিতে হবে।

৪. বিএডিসি শ্রমিকদের মাসে ৩০ দিনের হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শ্রমিকদের কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে হবে।

৬. বিএডিসি থেকে শ্রমিকদের বিনা কারণে ছাঁটাই করা বন্ধ করতে হবে।

৭. শ্রমিকদের জন্য শোষণমুক্ত, মর্যাদাসম্পন্ন ও বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ, অধিকার সুরক্ষা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৮. বিএডিসির নারী শ্রমিকদের বেতনসহ চার মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে।

৯. ‘মৌসুমি শ্রমিক’ নামক প্রহসন বন্ধ করে বিএডিসি শ্রমিক ম্যানুয়াল বাতিল করতে হবে।

ইএসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।