ঢাকা: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশ অফিসের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনন বুধবার (২২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
ম্যাক্স টুনন এমন এক সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন যখন জাতীয় সম্পাদ্য কার্যাবলীতে, শালীন, সমুচিত কাজ বা ডিসেন্ট ওয়ার্ক এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রচারের জন্য আইএলও-এর ম্যান্ডেট বা আদেশপত্র শীর্ষে রয়েছে।
টুনন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে, শালীন, সমুচিত কাজের জরুরিতা স্পষ্ট। প্রতি বছর দুই কোটি তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ করে-এ তরুণদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মর্যাদার সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সব শ্রমিকদের জন্য শুধু উপযুক্ত কর্মপরিবেশ প্রদান করবে না, বরং তা এ দেশের বিনিয়োগ আকর্ষণ, এবং রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের ক্ষমতাও উন্নত করবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন এবং আইন ও নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য আইএলও সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা প্রদান করে আসছে। তাছাড়াও, আইএলও পুরুষ ও নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, একই সঙ্গে নিশ্চিত করে যে কর্মীরা চাকরির বাজারে সে দক্ষতা অর্জন করে, যা নিযোগকর্তাদের কাঙ্ক্ষিত। এছাড়াও আইএলও ব্যবসা শুরু ও বিকাশের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করে।
বাংলাদেশে আসার আগে, ম্যাক্স টুনন দোহায় আইএলও অফিসের প্রধান ছিলেন তিনি সে দেশে একটি বিস্তৃত শ্রম সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন প্রদান করেছেন। আগে একই অফিসে, তিনি মজুরি, শ্রম পরিদর্শন; এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচিতে, একজন কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে, তত্বাবধান করেছেন। তিনি ব্যাংকক এবং নয়াদিল্লিতে আইএলও উপ-আঞ্চলিক অফিসের পাশাপাশি বেইজিংয়ে আইএলও অফিসেও কাজ করেছেন।
বাংলাদেশে অবস্থিত আইএলও অফিস আইএলওর বৃহত্তম দেশীয় অফিসগুলোর মধ্যে একটি। মৌলিক কর্মনীতি এবং অধিকারের সঙ্গে একমত হওয়ার জন্য এর একটি বিস্তৃত পোর্টফোলিও রয়েছে। আইএলও প্রান্তিক গোষ্ঠীসহ সব নাগরিকের জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার সরকারের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।
আইএলও বাংলাদেশে ডিসেন্ট ওয়ার্ক কান্ট্রি প্রোগ্রাম (ডিডব্লিউসিপি) এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করে, যা ত্রিপক্ষীয় অংশীদার-সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে বিকশিত এবং সম্মত হয়েছে।
টিআর/জেএইচ