ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

নগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ ফটকে তালা, ভোগান্তিতে সেবাপ্রত্যাশীরা

সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৯, মে ১৮, ২০২৫
নগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ ফটকে তালা, ভোগান্তিতে সেবাপ্রত্যাশীরা নগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ‘হেপাটাইসিস সি-তে আক্রান্ত আমি। ঈদের আগে অপারেশন করাতে বলেছেন চিকিৎসক।

একটা অনুদানের টাকা আজকে দেওয়ার কথা। কিন্তু গেটে তালা। ঢুকতে দিচ্ছে না। বললো, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব সেবা বন্ধ থাকবে। বিপদে পড়ে গেলাম অনেক। ’ এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মালিবাগ থেকে আসা হাবিবুর রহমান।  

নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে থাকায় শত শত সেবাপ্রত্যাশী দূরদূরান্ত থেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন তার সমর্থকরা। ‘ঢাকাবাসীর’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন ইশরাক হোসেনের কর্মী সমর্থক ও দক্ষিণ সিটির সাধারণ ভোটাররাও।

রোববার (১৮ মে) সকাল ৯টা থেকে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভ শুরু করেন ইশরাক হোসেনের হাজারো সমর্থক। এ সময় তারা ‘ইশরাককে মেয়র করো’,  ‘ইশরাক তোমার ভয় নাই নগরবাসী তোমার সাথে’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘ঢাকাবাসীর অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থানার নেতাকর্মীরা নগর ভবনের বিক্ষোভে যোগদান করেন।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের সমবায় বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগসহ নানান স্লোগানও দেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে এবং নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাখা হবে জানান বিক্ষোভকারীরা।

ফটকে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।  ছবি: ডিএইচ বাদল

৩৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, ইশরাক জনতার মেয়র। তাকে নিয়ে টালবাহানা চলছে। আমরা চাই দ্রুত মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার।

নগর ভবনের এই বিক্ষোভে বিএনপি, যুবদল, কৃষক দলসহ দলের অন্যন্য সংহগঠন যুক্ত  হয়েছেন।  নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের অবস্থনের ফলে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া ও বঙ্গমার্কেটের সামনে শতশত গাড়ি আটকা পড়ছে।

টানা কয়েকদিনে চলা এই আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সেবা। এতে বিপাকে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা।

আন্দোলনের পাশাপাশি নগর ভবনের জরুরিসেবাগুলো চালু থাকলে অনেকেরই উপকার হতো বলে জানান শনির আখড়া থেকে আগত মাসুম মোল্লা। তিনি বলেন, আমার পাসপোর্ট বানাতে হবে ইমারজেন্সি। তাই জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলাম। এখন দেখছি সব কিছুই বন্ধ। কবে আন্দোলন শেষ হবে বোঝা মুশকিল।  

ডিএইচবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।