ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বিদেশিদের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে: নৌ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৮, জুলাই ২, ২০২৫
বিদেশিদের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে: নৌ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালনা করার ইস্যুতে নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। আমার উপরেও এটা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে।

আমাদের ক্ষতি হয় এমন কোনো চুক্তি হবে না।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের কাছে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কি বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, আছে। এটা আপনারা সবাই জানেন। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।  

জনবল ও তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিজস্বভাবে এটাকে পরিচালনার কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা? বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়ে আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন যদি হয় তাহলে কি সেটাতে আমি বাধা দিতে পারবো? যদি বাধা দিই তাহলে তো স্বৈরাচারীর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।  

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে এটা অপারেট করার জন্য যদি বাইরের লোক আসতে চায় এবং বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে কি এটা আমরা দিতে পারবো না? এতে কি বন্দর তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে? বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেই তো বন্দর থাকছে। এমন তো নয় যে বন্দর অথরিটিকে সরিয়ে দিয়ে বিদেশিদের বসানো হচ্ছে। এটা হলো অপারেশন। যেমন, এটা আজকে আমরা নেভিকে দিলাম। যদি নেভি না থাকে তাহলে আর্মিকে দিতে হবে।

সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ যদি এটাকে পরিচালনা করতে চায় তবে সে ক্ষেত্রে আগে আমাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করতে হবে। আগের সরকারের কথা ভুলে যান। আগে সরকার তো অনেক কিছুই করেছে সেগুলো আমরা বাদ দিচ্ছি।

উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। আমার উপরেও এটা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে। বিদেশের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। আমাদের ক্ষতি হয় এমন কোনো চুক্তি হবে না। তারা একটা বড় বিনিয়োগ নিয়ে আসছে। তারা ৮৫ টি আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা করছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় তারা বন্দর পরিচালনা করছে। কেউ কেউ বলছে বিদেশিরা আসলে পোর্ট নিয়ে যাবে! আমার মনে হয় এদের কিছু স্বার্থ আছে। বিদেশে বিনিয়োগকারীরা এলে তাদের সেই স্বার্থ পূরণ হবে না।  

তিনি আরও বলেন, পোর্টে কীভাবে চাঁদাবাজি হয়, এটা সবাই ভালো করে জানে। এখনও চাঁদাবাজি চলছে। সুতরাং আমরা না বুঝে না শুনে কোনো কাজ করতে যাচ্ছি না।  

বিদেশিদের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কোনো অ্যানালাইসিস করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এখনো তো কিছু হয়নি। এখন তো মাত্র স্টাডি হচ্ছে। আমাদের মঙ্গলের জন্য তাদেরকে কিছু শর্ত দিয়েছে। এই চুক্তি হবে বন্দরের সঙ্গে।

জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।