ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বান্দরবানে সেনা অভিযান নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৭, জুলাই ৩, ২০২৫
বান্দরবানে সেনা অভিযান নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর কেএনএর গোপন আস্তানা

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র শাখা কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এতে কমান্ডারসহ দুই কেএনএ সদস্য নিহত হয়েছেন।

জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ।  

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৫টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় কেএনএফের সশস্ত্র শাখার (কেএনএ) বিরুদ্ধে একটি ‘সফল অভিযান’ পরিচালনা করে।

এতে বলা হয়, অভিযান এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনা সদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে মধ্যে ‘ব্যাপক গুলি বিনিময়ের’ ঘটনা ঘটে।  

আইএসপিআর আরও জানায়, অভিযানের একপর্যায়ে, সেনা টহলদল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দুই সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডলি যিনি কেএনএফের শীর্ষ পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজনও কেএনএফের সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্যে বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত সফল অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পুনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এজেডএস/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ