ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বিমান বিধ্বস্ত: বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধদের নামের তালিকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৭, জুলাই ২১, ২০২৫
বিমান বিধ্বস্ত: বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধদের নামের তালিকা হাসপাতালে স্বজনদের ভিড়।

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৭১ জন। আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে অর্ধশতজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যাদের দগ্ধ কম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান সন্ধ্যা ৬টা দিকে জানান, এ পর্যন্ত ৫১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিমান দুর্ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে বেশ কিছু দগ্ধ ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলো, নওরিন, মাসুকা, মাসুমা ৬০ শতাংশ দগ্ধ, তাসনিয়া ৩৫ শতাংশ দগ্ধ, আয়ান ৬০ শতাংশ দগ্ধ, মাহতাব ৮০ শতাংশ দগ্ধ, মাকিন ৬২ শতাংশ দগ্ধ, আরিয়ান ৫৫ শতাংশ দগ্ধ, আরিজন ১০০ শতাংশ দগ্ধ, আশ্রাফুল ইসলাম ১৫ শতাংশ দগ্ধ, রোহান ৫০ শতাংশ দগ্ধ, শ্রেয়া ৫ শতাংশ দগ্ধ, কাব্য ২০ শতাংশ দগ্ধ, এশা ৬ শতাংশ দগ্ধ, মেহরিন ১০০ শতাংশ দগ্ধ, রুপি বড়ুয়া ৬ শতাংশ দগ্ধ, তাসমিয়া ৫ শতাংশ দগ্ধ, নাজিয়া ৮০ শতাংশ দগ্ধ, জায়ানা ৮ শতাংশ দগ্ধ, সায়েবা ৮ শতাংশ দগ্ধ, পায়েল ১০ শতাংশ দগ্ধ, আবির ২০ শতাংশ দগ্ধ, কাফি আহমেদ ১০ শতাংশ দগ্ধ, আলবিনা ৫ শতাংশ দগ্ধ, মুনতাহা ৫ শতাংশ দগ্ধ, নিলয় ১৮ শতাংশ দগ্ধ, নাফির ৯৫ শতাংশ দগ্ধ। এছাড়া আইসিউতে রয়েছে শামীম, শায়ান ইউসুফ, মাহিয়া, আফনান ফাইয়াজ, সামিয়া।

এদিকে একই সময় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরা এলাকার বাংলাদেশ মেডিকেলে ২৩ জন, শিনশিন জাপান হাসপাতালে ১১ জন, ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৫ জন, লুবানা হাসপাতাল ২০ জন, ইস্টওয়েস্ট হাসপাতালে একজন, মুনসুর হাসপাতালে আটজন, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ৩৮ জন। এছাড়া তারা মোট আহত ১১৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছন।

জানা যায়, নিহত ২০ জনের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম তানভির আহমেদ। সে মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আর ঢাকা মেডিকেলে মারা যাওয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. জুনায়েত হাসান। তাদের দুজনের শরীরে দগ্ধসহ জখম রয়েছে।

নিহতদের সঙ্গে থাকা স্কুল আইডি কার্ড থেকে এসব তথ্য জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।