বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জের বিচার দাবিতে উত্তরা এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি গোলচত্বরে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, গতকাল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় প্রশাসন যে নিহতের সংখ্যা জানিয়েছে, বাস্তবে তা তার চেয়ে অনেক বেশি। প্রশাসন নিহত-আহতের প্রকৃত তথ্য গোপন করছে। দুর্ঘটনার পর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা যখন উদ্ধারকাজে এগিয়ে যায়, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অমানবিকভাবে লাঠিচার্জ করে। এতে কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল আলম, শিক্ষক মিজানুর রহমানসহ অনেকে আহত হন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা লাশের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ এবং শিক্ষকের উপর লাঠিচার্জের বিচার চায়।
শিক্ষার্থীদের দাবি রাতে গোপনে অনেক লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে,পরিজনের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। এসব লাশ দ্রুত হস্তান্তর করা হোক।
শিক্ষার্থীদের দাবি, মাইলস্টোন কলেজের আহত নিহত শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা না জানানো পর্যন্ত বিক্ষোভস্থল থেকে যাবো না।
মাইলস্টোন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আরশ বলেন, বিমান দুর্ঘটনার পর শিক্ষকদের সাথে আমরা নিজেরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছিলাম। শিক্ষকরা আহত নিহত শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল সে সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, আমাদের উপর হামলা করে। এতে শিক্ষক অভিভাবক ও ছাত্ররা আহত হয়, এটা অমানবিক। আমরা মব সন্ত্রাস করতে যাইনি, আমরা গিয়েছিলাম আমাদের ভাই-বোনদের উদ্ধার করতে।
মাইলস্টোন কলেজের হোস্টেলে বসবাস রত একজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, রাত আটটার পর উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করলেও সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন মাইলস্টোন কলেজে অবস্থান করে। রাত আড়াই টার পর অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সংস্থার গাড়ি প্রবেশ করে। তিনটার পর এসব গাড়ি বের হয়ে যায়। এতে সন্দেহ হয় নিহত অনেক শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আইইউবিটি, শান্ত-মারিয়াম, উত্তরা কলেজ, সিরাজ উদ্দিন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গোল চত্বর থেকে মিছিলে নিয়ে মাইলস্টোন কলেজের অবস্থান নেয়।
জেডএ/এমএম