ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল প্রতিষ্ঠানটির সাদ সালাহউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর থেকেই তার খোঁজে পরিবারের সদস্যরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটেছেন, তবু সন্ধান মেলেনি সেই ছোট্ট ছেলের।
শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার দিকে পাওয়া গেল দুঃসংবাদ, সাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। তার চাচা ও সাংবাদিক আবীর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাত্র ৮ বছর বয়সের সাদ পড়ত মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা মিডিয়ামে, তৃতীয় শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের আদরের পুত্রসন্তান ছিল সে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তার বাবা। প্রিয় ছেলেকে হারিয়ে এখন শোকে পাথর হয়ে গেছেন তার বাবা-মা। সাদের মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়ি, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামেও।
সাদের খোঁজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল বাংলানিউজ। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আবীর রহমান নিজেও হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরেছেন ভাতিজাকে। কিন্তু এই খোঁজের শেষ গিয়ে মিলেছে—সিএমএইচের এক নিঃশব্দ কক্ষে।
বাংলাদেশ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এই বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৯ জন, আহত হয়েছেন ১৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে ১২ জনের মরদেহ রয়েছে সিএমএইচে। বাকি সাতজনের মধ্যে দুজন বার্ন ইনস্টিটিউটে, দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে, দুজন লুবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং একজন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে বিমানটির পাইলট, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরও আছেন। তার দেহও রয়েছে সিএমএইচেই—সেই হাসপাতাল থেকেই পাওয়া গেল ছোট্ট সাদকে।
এমএইচএম