ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০০ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

জঙ্গি তকমা দিয়ে আলেমদের কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে: এনায়েতুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৬, জুলাই ২৬, ২০২৫
জঙ্গি তকমা দিয়ে আলেমদের কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে: এনায়েতুল্লাহ

বাংলাদেশে ইসলামপন্থী ও আলেম সমাজের ওপর দমন-পীড়ন বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাহরিকে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। এক মহাসমাবেশে তিনি বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্যে গড়া বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই এখন সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার।

জঙ্গি তকমা দিয়ে আলেমদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এসব বক্তব্যে বর্তমান রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং একটি সুবিচারভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের প্রত্যাশা উঠে এসেছে।

জঙ্গি তকমা দিয়ে আলেমদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করেছেন  তাহরিকে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।  

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ব্যানারে শুক্রবার(২৫ জুলাই) আয়োজিত এক সমাবেশ তিনি এই মন্তব্য করেন।
 
আব্বাসী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। উলামায়ে কেরাম ও শরিয়াপন্থীদের জঙ্গি তকমা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে। জিহাদ শব্দটিকে পশ্চিমারা ও তাদের অনুসারীরা ভুলভাবে তুলে ধরছে। জঙ্গি শব্দের অপপ্রয়োগ করে প্রকৃত ইসলামপন্থীদের দমন করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশ রক্ষায় যুদ্ধ করেছেন, তারাও তো জঙ্গি অর্থে যোদ্ধাই ছিলেন। যদি আর কোনো আলেমকে জঙ্গি তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। জেলখানার ইট এক এক করে তুলে নেওয়া হবে। আর প্রথম আলোর মতো কিছু গণমাধ্যম ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন হলে তাদেরও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
 
ড. আব্বাসী অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের বিতর্কিত মানবাধিকার কমিশন ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে—যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমরা জানি, এই কমিশন যুদ্ধবিধ্বস্ত ১৬টি দেশে কাজ করে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশে কেন এই কমিশন? মার্কিনপন্থী একটি চক্র বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং জাতিসংঘ তাদের হাতিয়ার।
 
সমাবেশ থেকে ৩টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়: 

১। আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ তকমা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে 
২। গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে 
৩। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকায় কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে
 
মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, আহমদ রফিক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভীম আসিফ আদনান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদ, আবু ত্বহা আদনান প্রমুখ।
 
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন ঘুরে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।