ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

মাদকের গডফাদাররা ধরা না পড়ার জন্য কিছু সংস্থার দায় রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪২, জুলাই ২৮, ২০২৫
মাদকের গডফাদাররা ধরা না পড়ার জন্য কিছু সংস্থার দায় রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

ঢাকা: মাদকের গডফাদাররা ধরা না পড়ার জন্য আমাদের অনেক সংস্থা আছে তাদেরও দায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । একই সঙ্গে কোনো চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যত বড় লোক বা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে কি নিয়ে আলোচনা হলে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির নিয়মিত সভা ছিলো। প্রধান উপদেষ্টার ওখানে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলবেন।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সমন্বয় করে প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সাথে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে প্রেস সচিব ইত্যোমধ্যে ব্রিফিং করেছেন৷ সে বিষয়ে আপনারা সবাই জানেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশকে প্রশিক্ষিত করতে সেপ্টেম্বর থেকে একটি প্রশিক্ষণ শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের যে ট্রেনিং আগস্ট মাস থেকে শুরু করবো। প্রশিক্ষণটা এক বেস যাবে আরেক বেস আসবে। এভাবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চলবে।

এসপি ওসি দের বদলি পরিবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এসপি ও ওসিদের পরিবর্তন এটা চলমান প্রক্রিয়া হতেই থাকবে। সব সময় পোস্টিং হচ্ছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু হবে কিনা, সেটা সেসময় আপনারা হলে দেখতে পারবেন।

এখন থেকে প্রস্তুতি কি নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজকে যে বিষয়ে প্রস্তুতি ও আলোচনা হয়েছে সেটা হলো মজদকের বিষয়ে। মাদক আসাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। এটা কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এজন্য আমরা কক্সবাজারে আমাদের বড় একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গিয়েছিলো। তার অর্জনটা কি সেটা দেখার জন্য। আমরা জানতে পেরেছি কিছুটা সুফল আমরা পেয়েছি৷

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাদক ধরার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। মাদক বহনকারী ধরা পড়ছে, কিন্তু গডফাদাররা এখনও ধরা পড়ছে না। এই গডফাদারগুলো ধরা না পড়ার জন্য আমাদের কিছু সংস্থা আছে তাদেরও দায় রয়েছে। আমরা সবার থেকে সব ধরনের সহযোগুতা পাচ্ছি না। কাদের থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না সেটা আপাতত বলকে চাচ্ছি না। কিন্তু অনেক আছে যাদের থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না এ মাদকের গডফাদারদের ধরার জন্য।  

চাঁদাবাজিসহ নানা বিষয় নিয়ে এাটা চিরুনী অভিযান চলছিলো সে বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা গুলশানের চাঁদাবাজদের ধরেছি সেটা বড় করে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। কোনো চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যতো বড় লোকই হোক না কেন? যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।


সমন্বয়কারী পরিচয় দিচ্ছে কেউ কেউ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না৷ সে যত বড় পরিচয়ই দেখ না কেন, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।