রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, আবাসন খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এ খাতের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবিকা।
সাম্প্রতিক সময়ের ‘ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান’ (ড্যাপ)-কেন্দ্রিক অচলাবস্থার ফলে এ গুরুত্বপূর্ণ খাতটি চরম স্থবিরতার মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আবাসনশিল্পে সরাসরি কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এর বাইরে রড, সিমেন্ট, ইট, ক্যাবল, রং, টাইলস, লিফট, থাই অ্যালুমিনিয়াম, স্যানিটারি সামগ্রীসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্প এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। আবাসন খাতের স্থবিরতা পুরো নির্মাণ ও শিল্প খাতজুড়েই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কর্মসংস্থান হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, সরকার প্রতি বছর শুধু জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি বাবদ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। ড্যাপের বাস্তবায়ন ঘিরে দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা ও অস্পষ্টতা এ রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে যে খাতটি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, সে খাতের সংকট নিরসন করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
অবিলম্বে ড্যাপ প্রয়োজনীয় সংশোধন করে বাস্তবভিত্তিক, বৈষম্যমুক্ত ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হলে এ উদ্যোগ গ্রহণ এখনই প্রয়োজন।