টাঙ্গাইল: দি ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের জামালপুর শাখার ব্যবস্থাপকসহ ৮জনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪০টি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুদক টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বাদী হয়ে জামালপুর থানায় পৃথক মামলাগুলো দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দি ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লি. ১৯৬৯ সালের ২৭ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। প্রধান কার্যালয় ঢাকার মিরপুর সেনপাড়া পর্বতার ১৪৩ রোকেয়া স্মরণীর ৪র্থ তলায় এর প্রধান কার্যালয়। বিভিন্ন সময় ব্যাংকের ৩৭টি শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।
জামালপুর শাখা থেকে আমানতকারীর এফডিআর-এর টাকা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া এবং প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এফডিআর করা টাকার একটি অংশ ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হতো।
জামালপুর শাখার ফিল্ড অফিসাররা প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করে তা অফিসে সদস্য ভিত্তিক হিসাবরক্ষকের কাছে থাকা লেজারে জমা করতেন। মাস শেষে স্থায়ী আমানতকারীদের তাদের আমানতের ওপর ২৪ ভাগ হারে সুদ সমন্বয় করা হতো। লেনদেনের অবশিষ্ট টাকা প্রধান কার্যালয় অথবা ব্যাংকের অন্যান্য শাখায় পাঠানো হতো। শাখাটি ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এরপর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।
জামালপুর শাখার ৪০জন আমানতকারীর মধ্যে সদর উপজেলার বেলটিয়া মাদ্রাসা এলাকার মৃত আলী মাসুদ মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম তিনটি রসিদের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত করেন। তার রসিদে ব্যবস্থাপক ওবায়দুল্লাহ ইবনে হক ও অফিসার জয়িতা চক্রবর্তীর স্বাক্ষর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি আরও ৫ লাখ টাকা জমা দেন সেখানে ওবায়দুল্লাহ ইবনে হক ও অফিসার লিপিআরা পারভীনের স্বাক্ষর পাওয়া গেছে। তারা ওই সাড়ে ৮লাখ টাকা প্রধান কার্যালয়ে স্থানান্তর করেন বলে অনুসন্ধানকালে তাদের ও ডাচবাংলা ব্যাংকের জামালপুর শাখা এবং মিরপুর ১০ শাখার ম্যানেজারের বক্তব্য থেকে জানা যায়।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপক জামালপুর সদর উপজেলার আওলাই কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত এ কে এম ফজলুল হকের ছেলে ওবায়দুল্লাহ ইবনে হক, অফিসার সরিষাবাড়ি উপজেলার সেনগুয়া গ্রামের মৃত আবদুর রশীদের মেয়ে লিপি আরা পারভীন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মগধরা গ্রামের আবু হানিফের ছেলে রফিকুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার হাতিখোলা গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা করা হয়।
এছাড়াও ৪০জন আমানতকারীর কাছ থেকে ৯৪টি রসিদের মাধ্যমে মোট এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে ওই ৪জন ছাড়াও খন্দকার নূরুল আমিন, সাইফুল ইসলাম, শারমিন সুলতানা ও আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এসএইচ
** ঢাকা আরবানের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪০ মামলার অনুমোদন