বাগেরহাট: সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মনির বাহিনীর প্রধানসহ দুই দস্যু নিহত হয়েছেন। এসময় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের উরুবুনিয়া খাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মনির বাহিনীর প্রধান মনির খলিফা (৩০) ও তার সহযোগী নূর ইসলাম সরদার ওরফে ভোলা (৪৮)।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-আট এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ফরিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে র্যাবের একটি দল বাগেরহাট জেলার মংলা থানাধীন সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত শ্যালা নদীর উরুবুনিয়া খালের আশপাশে অভিযানে যায়। এসময় সেখানে একটি বাইন গাছের ওপর নিরাপত্তা চৌকি দেখতে পায় তারা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই নিরাপত্তা চৌকির কাছাকাছি গেলে হঠাৎ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দস্যুরা। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে গুলি বিনিময় চলে। একপর্যায়ে দস্যুদের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়া বন্ধ হলে র্যাব সদস্যরা বনের ভেতর তল্লাশি চালায়। এসময় সেখান থেকে দু’টি মৃতদেহ এবং বিপুল সংখ্যক অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
পরে স্থানীয় জেলেরা গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ দু’টি বনদস্যু মনির বাহিনীর প্রধান মনির খলিফা ও তার সহযোগী নূর ইসলামের বলে শনাক্ত করে।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-পাঁচটি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, সাতটি ওয়ান শ্যুটার গান, চারটি কাটা রাইফেল, একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক, একটি পয়েন্ট ২২ বোর বন্দুক, বিভিন্ন ধরনের বন্দুকের ৩০০ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩৩ রাউন্ড গুলির খোসা।
এছাড়া সাতটি ধারলো অস্ত্র, মোবাইল ফোন, সিমকার্ডসহ দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-আট এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, মনির বাহিনী সুন্দবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়িরখাল, নন্দবালা খাল, হারবাড়িয়ার খাল, শ্যালাগাং, আরুবাডিয়া, আন্ধারমানিক ও পশুর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালে ডাকাতি, নিরীহ জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং মাছধরা ট্রলারে লুটপাট করে আসছিলেন। মনির ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাগেরহাটের মংলা ও শরণখোলা থানায় দস্যুতা, জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআই