নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর স্কুলছাত্র রাকিবুল হাসান ইমন (১৩) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি একই ঘটনায় প্রথমে দায়ের করা অপহরণ মামলায় তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়াজী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন-জেলার বন্দর উপজেলার কামতাল মালিভিটা গ্রামের সাইফুর রহমান (২৩), তোফাজ্জল হোসেন (২২), জামাল হোসেন (২২) ও শাহজাহান ওরফে জীবন (২১)। এদের মধ্যে সাইফুর ও তোফাজ্জল পলাতক।
এদিকে, এ মামলার অপর আসামি আল-আমিনকে (১৮) ১৪ মে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের এপিপি এম এ রহিম বাংলানিউজকে জানান, নিহত ইমন জেলার বন্দর উপজেলার কামতাল মালিভিটা এলাকার প্রবাসী নূরু মিয়ার ছেলে। সে সোনারগাঁও উপজেলার সদর এলাকার এইচজিজি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়তো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ইমনকে অপহরণ করেন ওই পাঁচজন। পরে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা।
এ ঘটনায় ইমনের মা ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে ওই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তারা মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণের রাতেই ইমনকে হত্যা করে মৃতদেহ বন্দরের মদনপুর মালিবাগ এলাকার একটি মুরগির খামারের গর্তে পুঁতে রাখা হয় বলে স্বীকার করেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।
তবে, হত্যাকাণ্ডের সময় আল-আমিন নাবালক থাকায় জুবিনাইল আইনে ১৪ মে পৃথকভাবে তার বিচার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআই