ঢাকা: ফ্রান্স, বেলজিয়ামের তুলনায় আমরা একভাগও ত্যাগ স্বীকার করছি না বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।
বাংলাদেশে ফেসবুক নির্ভর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবারের রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাইস্কুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৬ সালের শিক্ষাবর্ষে এসএমএস ও অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
তারানা হালিম বলেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্সের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করছে। যার তিনভাগের একভাগও আমরা করছি না।
তিনি বলেন, আমরা কি ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের মতো আক্রমণের শিকার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো? প্রশ্নই আসে না। আমরা এতো অমানবিক নই, হতে পারবো না, হতে চাই না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে আর নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই, আমাকে নির্দেশ দিলে খুলে দেবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের উপরই আমাদের নির্ভর করতে হয়। আমরা কারও জীবনের ঝুঁকি নিতে চাই না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ রাষ্ট্রের অধীনে। রাষ্ট্র যখন বলবে জনস্বার্থে জনগণের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখতে হবে, তখন আমাকে বন্ধ রাখতে হবে। সরকার যখন মনে করবে এখন জননিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুঁমকি নেই এখনই খুলে দেওয়া যেতে পারে, তখন নির্দেশ দিলে আমরা খুলে দেব।
তারানা বলেন, আমি সরকারের নির্দেশ পালন করি মাত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের চেয়ে জীবন মূল্যবান।
এ ত্যাগের জন্য একটি জীবনও যদি বাঁচে তাহলে সে ত্যাগ স্বীকার করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারানা হালিম।
এর ফলে জনগণ ভোগান্তিতে পোহাতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একজন মানুষের বুকে যদি একটি গুলি লাগে তাহলে কি আমাকে দায়ী করবেন না? রাষ্ট্র মনে করছে জনগণের নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা উচিত এবং নির্দেশনা অনুসারে আমি তাই করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
আরইউ/এএ