ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিজয় র্যালিতে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ পাকিস্তানকে সর্বোতভাবে বর্জনের ডাক এসেছে।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এ বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি শেষে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র-প্রতিনিধি পাকিস্তানে যাবেন না।
পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানান উপাচার্য। একই সঙ্গে জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিস্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উপাচার্যের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে এ বর্ণাঢ্য ‘বিজয় র্যালি’ বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন উপাচার্য।
স্বাধীনতা চত্বরে বক্তৃতাকালে উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং বিজয় অর্জিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানিরা বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত ছিল। ঠাণ্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীসহ অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে তারা। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল বিশ্ব সভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আজ তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ পাকিস্তানের গঠন করা হামিদুর রহমান কমিশনেই গণহত্যার দালিলিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, এ-হেন বিবৃতি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। এরপর পাকিস্তানিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো সুযোগ নেই।
তাই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করা হোক। মানবাধিকারের প্রবক্তা জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিস্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
র্যালিতে অংশ নেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য।
সবশেষে স্বাধীনতা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে পরিবেশিত হয় মুক্তির গান, বিজয়ের গান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
এসএ/ এএসআর