এ কি হলো! ডিজেলের গাড়িতে পেট্রোল!

পারনান্দুয়ালী, মাগুরা থেকে: ঠিকঠাক মতোই তেলের ট্যাংকি ভরা হলো। এবার যাত্রা শুরুর পালা।

হায়, স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলো বহরের ৯টি গাড়ির।

ঠিক তখনই আবিষ্কার হলো গাড়িগুলোতে পেট্রোল ভরা হয়েছে। এ ধরনের দ‍ুর্ঘটনা গত ১৮ দিনে ঘটেনি। র‌্যালির শেষ দিনে বিগড়ে গেলো সব।

বাংলাদেশের মধ্যে গত তিনদিনে কোথাও সময়ের হেরফের হয়নি।

মাগুরার পারনান্দুয়ালীতে মাগুরা ফিলিং স্টেশনে এ অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। একটি মাত্র ট্যাংকিতে ডিজেল থাকলেও দু’টি ট্যাংকির সামনে অবচেতন মনে চলে যান রাইডাররা। যদিও বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি নিরোধ চন্দ্র মন্ডল বলেছিলেন, একটি মাত্র ট্যাংকিতেই ডিজেল রয়েছে।

প্রতিটি গাড়ির ট্যাংকিতে প্রায় ২০ লিটার করে জ্বালানি ভরা হয়।

বেলা আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে। এখন এই নয়টি গাড়ি থেকে আবার পেট্রোল বের করা হচ্ছে। গাড়িগুলোকে রাইডাররা নিজেরা ও গ্রামবাসী মিলে আবার ঠেলে নেওয়া হচ্ছে পেছনে।

গাড়ি থেকে তেল সরানো সহজ বিষয় নয়। কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। গাড়ির নিচে শুয়ে, বসে, মুখে পাইপ লাগিয়ে তেল সরানো হচ্ছে এখন। এমনকি গাড়ির ট্যাংকি খুলেও পরিষ্কার করা হচ্ছে। অনেকেই পোশাক-আশাক খুলে পুরোদস্তুর মেকানিক হয়ে গেছেন!

এখন উপায় হচ্ছে, গাড়িগুলোর ট্যাংকির পুরো পেট্রোল জ্বালানি সরিয়ে ডিজেল দিয়ে ধুয়ে নতুন জ্বালানি ভরতে হবে।

মাহিন্দ্র ও টয়োটা কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিষয়টিতে বেশ ক্ষুব্দ। যারা এই র‌্যালির জন্য ১৬টি গাড়ি সহায়তা করেছিলো।

এদিকে দুপুর ২টা থেকেই যশোর সার্কিট হাউজে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাম্পে জ্বালানির ট্যাংকিগুলোতে ইংরেজি লেখা না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। তবে গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের পাম্পে ইংরেজি না লেখাটা অস্বাভাবিক নয় বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।