ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা আবেদনের শুনানি রোববার (০৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে আংশিক শুনানির পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ।
শুনানির এক পর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ত্রুটি রয়েছে। তবে অধিকতর তদন্তের নামে শতভাগ অর্জন করতে গিয়ে যারা কারাগারে রয়েছেন তারা আবার কোনো সুবিধা না নিয়ে নেয়। কারণ দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে মামলাটির সুষ্ঠু বিচার হোক।
আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানিতে বলেন, মামলার বাদী এজাহারে ৩৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত শেষে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে দেখা গেল এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মামলার বাদী যদি এজাহারে কারও নাম বলে সাধারণত অভিযোগপত্রে তার নাম থাকাটা উচিত। কিন্তু পুলিশ যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সেখানে কারও নাম রয়েছে, আবার কারো নাম বাদ দিয়েছে। এতে বাদীর ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সাত খুনের ঘটনার মূল হোতা নূর হোসেন মামলার তদন্তকালে দেশে ছিলেন না। সরকার তাকে ফিরিয়ে এনেছে। এখন রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়।
এরপর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে আরেকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১,২০১৫
ইএস/এমএ