ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদের চেয়ে পৌরসভায় কমপক্ষে ১০ দল বেশি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
সংসদের চেয়ে পৌরসভায় কমপক্ষে ১০ দল বেশি

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের (পৌরসভা) কোনো নির্বাচন দলীয়ভাবে হচ্ছে। এতে অন্তত ২২টি দল অংশ নিচ্ছে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অথচ দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো ১২ টি দল। অর্থাৎ সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় পৌরসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ১০টি দল বেশি অংশ নেবে।
 
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর)। ইতোমধ্যে বড় দলগুলো তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াও শুরু করেছে। আর ছোট দলগুলো প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, মোট ২২টি দল ইসিকে প্রার্থী মনোনয়নকারী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম দিয়েছে। অর্থাৎ ওই দলগুলোই নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান বাংলানিউজকে বলেছেন, ২২টি দল তাদের মনোনয়ন প্রদানকারী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জানিয়েছে। এগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএফ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
 
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, এনপিপি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ইসিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম দিয়েছে।
 
এই দলগুলোই নির্বাচনে অংশ নেবে ধরে নিয়ে আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি- বলেন রাজীব আহসান।
 
এতে ইসি’র ধারণা, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কমপক্ষে ১০টি দল বেশি পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, বিএনএফ, জাতীয় পার্টি-জেপি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট- এই মোট ১২টি দল অংশ নিয়েছিলো।

রাজীব আহসান বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম যেসব দল পাঠায়নি, তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে দলগুলোকে তাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা তার সম পদমর্যাদার ব্যক্তির প্রত্যয়নে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। ফলে নির্বাচনে ২২টির বেশি দল অংশ নেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ছোট ছোট দলগুলোর মধ্যে যারা কখনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় না, তারাও এবার প্রার্থী দিতে চাচ্ছে। অর্থাৎ তারা স্থানীয় নির্বাচনে এ নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করারও একটা পাঁয়তারা করছে।
 
এদিকে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতও প্রার্থী দেবে বলে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধন না থাকায় জামায়াত প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই এসব ছোট ছোট দলের টিকিটেই প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দলটির। অন্যদিকে বড় দলগুলোর কোনো জনপ্রিয় নেতা মনোনয়ন না পেলেও এসব দলের কাছে ভিড়তে পারেন মনোনয়নের জন্য। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে কালো টাকা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
 
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ-সচিব পর্যায়ের ইসির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এ অবস্থায় মনোনয়ন বাণিজ্য প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করাই ইসির চ্যালেঞ্জ। কেননা, কোনো দল কাউকে মনোনয়ন দিলে আইনত ইসি’র কিছু করার নেই।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এবারই দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে কেবল মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
ইইউডি/এএসআর

** প্রচারণায় হাসিনা পারবেন না, পারবেন খালেদা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।