ঢাকা: ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও নির্বাচনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিগম্যতা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
এতে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আবদুল আলীম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী আইন কাঠামোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কোনো কার্যকর বিধান রাখা হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ১৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে এ সংখ্যা ৯ দশমিক ৭ ভাগ অর্থাৎ ১০০ জনে প্রায় ১০ জন মানুষ প্রতিবন্ধী।
বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৪ সালের হিসেবে অনুযায়ী পৃথিবীতে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার।
২০১১ সালে বাংলাদেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ জন।
ইডব্লিউজি মনে করেন, এসব মানুষকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত এবং নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে কমপক্ষে ১৭ লাখ ৩ হাজার ১৮২ প্রতিবন্ধী ভোটার বাদ পড়েছেন।
এছাড়া ভোট কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য র্যাম্প স্থাপনের কোনা বাধ্যতামূলক বিধানও নেই। বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্র নিচ তলায় না হওয়ায় এবং ভোট কেন্দ্র এক কিলোমিটারের বেশি দূরে হওয়া ও নির্বাচনের দিন যানবাহন বন্ধ থাকায় এসব প্রতিবন্ধী ভোটার কেন্দ্রে যেতে পারেন না।
ইডব্লিউজির নির্বাহী পরিচালক আবদুল আলীম বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ভোটার কোনো অগ্রাধিকার পাননি। ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি।
তাই আগামী বছর ভোটর তালিকা হালনাগাদ করার আগেই যাতে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
আরএম/এমএ