কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে বন্ধুকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় হরিপুরের মবেরের মোড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে স্থানীয় বদর উদ্দিনের ছেলে ও আমলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন বাড়ি থেকে হরিপুর বাজারে আসেন।
সেখানে তার বন্ধু পাশের শালদা গ্রামের মৃত নিন্টুর ছেলে পলাশের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পলাশ পাশের একটি কাঠমিস্ত্রির দোকান থেকে ধারালো বাটাল এনে সুজনের বুকে, পেটে ও গলায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
সুজনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর পলাশ দৌড়ে পাশেই তার নানা আলমের বাড়ির একটি ঘরে গিয়ে আত্মগোপন করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় ঘরের ভেতরে পলাশ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে আত্মহত্যা করা পলাশ মাদকাসক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এসআর