ঢাকা: অন্যান্য শিশুর মতো সেও গিয়েছিল নাগরদোলা দেখতে। এ যাওয়াই শেষ যাওয়া হলো শিশু সাইফুল ইসলাম নীরবের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় নীরবের চাচা মো. সেলিমের। তিনি জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই একটা মাঠে নাগরদোলা আছে। ওই নাগরদোলা দেখতেই নীরব ওই মাঠে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, নীরবের সুয়ারেজ লাইনে পড়ার খবর শুনে তার মা, নাজমা বেগম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সন্তানকে উদ্ধারে নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েন নর্দমায়। আশেপাশের লোকজন তাকে সেখান থেকে টেনে তোলে।
নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে বাবা মো. রেজাউল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলা করবো না আমি। যা সর্বনাশ হওয়ার, আমারই হয়েছে। শুধু চাই, আর কোনো শিশুর যেন এমন করুণ মৃত্যু না হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উদ্ধারের পরপরই নীরবকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢামেক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে পানিতে ডুবে নীরবের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আবু সামা। তিনি বলেন, নীরবের পেট, ফুসফুসসহ শরীরে পানি পাওয়া গেছে। তার নাকে কাদা ও ফেনা পাওয়া গেছে। পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে নীরবের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা হয় তার পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
এজেডএস/আরএইচ/আরআই
** শিশু নীরবের মরদেহ মাদারীপুরে নেওয়া হচ্ছে
** ‘পানিতে ডুবেই নীরবের মৃত্যু হয়েছে’
** নীরবের ময়নাতদন্ত করছে ঢামেক ফরেনসিক বোর্ড
** নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি
** খেলতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে যায় শিশু নীরব
** উদ্ধারের আগেই নিভে যায় নীরবের প্রাণ
** শিশু নীরবকে মৃত ঘোষণা চিকিৎসকের
** ‘খোলা ম্যানহোলের ঢাকনা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে’
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব ঢামেকে
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব উদ্ধার বুড়িগঙ্গায়
** এখনও খোঁজ নেই শিশু নীরবের, উদ্ধার কাজ চলছে
** শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে শিশু নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার কাজ