ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমন্বয়-গবেষণার অভাবে বাড়ছে না করদাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
সমন্বয়-গবেষণার অভাবে বাড়ছে না করদাতা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কর প্রশাসনের সমন্বয় আর গবেষণার অভাবে বাংলাদেশে কর জিডিপি ও করদাতার সংখ্যা বাড়ছে না। এরমধ্যে প্রত্যক্ষ কর কমলেও বাড়ছে পরোক্ষ কর।

উচ্চ আয়ের থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের ওপর বেশি করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অক্সফাম বাংলাদেশ-এর সহায়তায় সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) পরিচালিত ‘ফেয়ার ট্যাক্স মনিটর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গবেষণাটি একযোগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সেনেগাল ও উগান্ডায় কর‍া হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর বণ্টন ব্যবস্থা, কর বোঝা, রাজস্বের পর্যাপ্ততা, কর অবকাশ, কর প্রশাসনের কার্যকারিতা, সরকারি ব্যয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিষয়ের নানা
তথ্য তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সুপ্র-এর পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ।

তিনি বলেন, দেশে প্রত্যক্ষ কর কমছে, তবে বাড়ছে পরোক্ষ কর। ভ্যাটের বোঝা উচ্চ আয়ের ব্যক্তির চেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাঁধে বেশি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  

কালো টাকা প্রসঙ্গে সুব্রত বাড়ৈ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখলেও এর উৎস বন্ধে সরকারকে জোর দেওয়া উচিত।

কর প্রশাসনে জনবল সঙ্কটের বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

তিনি বলেন, করপ্রশাসনে জনবলের অভাব আছে। তবে যারা আছেন তাদেরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।

সমন্বয়হীনতার কথা উল্লেখ করে সুব্রত বাড়ৈ বলেন, এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বেশ গড়মিল পাওয়া গেছে। অন্য চারটি দেশের তুলনায় সমতার দিক থেকে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে রয়েছে, তবে কর অব্যাহতির বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানা হয় না। সরকারি ব্যয় কাঠামোতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, ভ্যাট মুক্তি সুবিধা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ যাবতীয় জনবান্ধব সেবাখাতে থাকা উচিত। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কর-জিডিপির অনুপাত ১২ দশমিক ৪ শতাংশ টার্গেট ধরা হলেও তা অর্জিত হয়নি।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও এ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ১ শতাংশ ধরা হয়েছে, সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সুপ্র-এর চেয়ারপারসন আহমদ স্বপন মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর উপদেষ্টা মানজুর আহমেদ, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র সিনিয়র গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
আরইউ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।