ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌর নির্বাচন

ফোর্স থাকছে ৭০ হাজারের বেশি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
ফোর্স থাকছে ৭০ হাজারের বেশি

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭০ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়নের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ভেদে ১৯ থেকে ২১ জন করে ফোর্স রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী এ নির্বাচনে না থাকলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বেশি করে মোতায়েন করা হবে।

২৩৪ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩ হাজার ৫৫৮টি। এক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন করে ফোর্স রাখা হবে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নির্ণয় করতে মাঠ প্রশাসন কাজ করছে।
 
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের আগে দুই দিন ও পরে একদিন- এই চারদিন অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে থাকবে। ফোর্সের মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ভোটার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
 
ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় নির্ধারণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণে মাঠ প্রশাসন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে।
 
ইতোমধ্যে বৈঠকের কার্যপত্র প্রস্তুত করেছে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা। এতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে- প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স হিসেবে ২ হাজার ১৯৩টি, প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭৩১টি, প্রতি পৌরসভায় র‌্যাবের কমপক্ষে একটি টিম, প্রতিটি পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি (প্রায় ৭০ জন) এবং উপকূলীয় পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড মোতায়েন করা যেতে পারে।
 
সাড়ে তিন হাজার ভোটকেন্দ্রেই ভোটের দিন থাকবে ৬০ হাজারের বেশি ফোর্স। অবশিষ্ট ১০ হাজারের বেশি ফোর্স ২৩৪ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের দু’দিন থেকে অবস্থান নেবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- যেন বিভিন্ন বাহিনী টহল দিয়ে ভোটারদের মনে ভীতি দূর করার ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর (বুধবার) ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হবে। এতে ২০টি দলের এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ৮ হাজার ৫৮৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী লড়াই করবেন। এতে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
 
২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিল। এরপর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সেনা মোতায়েন ইসি চাইলেও তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। এরপর আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়নি। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিলের তিন সিটি নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন করা হলেও তারা ক্যান্টনম্যান্টেই স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অবস্থান করেছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
ইইউডি/আইএ

**  প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর ১১১২২, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।