ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
খুলনায় উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়।



এসব দল ও সংগঠনের মধ্যে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর, বিএনপি জেলা ও মহানগর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কমিউনিস্ট পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, বিএমএ ইত্যাদি।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই স্থানে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড কর্তৃক কুচকাওয়াজ এবং শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সিনেমা হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা পিআইডি’র আয়োজনে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিভাগীয় জাদুঘর বিনা টিকেটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। দুপুর দুইটা বা সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশুসদন ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা থেকে উন্মুক্ত রাখা হবে।

জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ যোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা ছ’টায় হাদিস পার্কে ‘সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা, সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোতে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সজ্জ্বিত করা হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, বয়রা শিশু পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক বিনা টিকেটে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।