ঢাকা: গাড়ির ভেতরে যাত্রীতে ঠাসা। কাঁধে ভারি ব্যাগ নিয়ে গাড়ির পেছনে ঝুলছে সাত স্কুলছাত্র।
শৈশবের এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহ দেখায় সবাই। তবে এ ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত ঘটাতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এক্ষেত্রে সচেতন নাগরিকদের দায়-দায়িত্ব রয়েছে সকল স্থানে শিশুদের সাহায্য ও সতর্কতা করা।
সম্প্রতি বিকেল ৪টার দিকে শেওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাদুড়ের মতো বিআরটিসি গাড়ির পেছনে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঝুলতে দেখা যায় স্কুলছাত্রদের।
বাসের পেছনে আলগাভাবে দাঁড়িয়ে গ্লাস, রড ও বডি ধরে বিশ্বরোডে যাতায়াত করছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। চলন্ত গাড়ির পাশ থেকে সাঁই সাঁই শব্দ তুলে দূরপাল্লাসহ ভারি যানবাহনও চলছে।
বনানী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মোটরবাইকে কুড়িল বিশ্বরোডে যাওয়ার পথে দেখা যায়, এমইএস বাসস্ট্যান্ড থেকে একদল স্কুলছাত্র গাড়ির ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে, পেছনে ঝুলে পড়েছে।
গাড়ির ভেতরে চার থেকে পাঁচজন ছাত্র ঠাঁসাঠাসি করে ব্যাগ কাঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর বাকিরা গাড়ির পেছনে ঝুলছে।
শেওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্ররা দৌড়ে পালাতে শুরু করে, আর বলে সাংবাদিক ছবি তুলছে পালা। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির পেছনে প্রায়ই ঝুলতে দেখা যায় স্কুল ছাত্রদের।
যানজট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি চালু হয় স্কুল বাস সার্ভিস। ২৬টি স্কুলকে সার্ভিসের আওতায় আনা হয়।
কিন্তু রাজধানীতে সরকারি স্কুল বাস সার্ভিস নীরবে বন্ধ হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুল সার্ভিসের ১৪ বাসের দুটি সচল। ধানমণ্ডি, উত্তরা, গুলশান, বনানী ও বারিধারার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গাড়ি মাঝে মধ্যে যাতায়াত করে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)- এর হিসাবে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়কালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হাজার ছয়’শ ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন চার হাজার ৭০ জন।
প্রকৃতপক্ষে বছরে গড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ। কম-বেশি আহত হন অর্ধলাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এফবি/এএসআর