কক্সবাজার: ধর্ষককে সহযোগিতার অভিযোগে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শহিদুল মোস্তফা’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক কিশোরী।
১৩ জানুয়ারি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়ার মগনামার দরদরীঘোনার ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে মগঘোনার আব্দু ছালামের ছেলে মোহাম্মদ আরফাত’র ( ২৪ ) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরাফাত তার নানার বাড়ী নিয়ে যায়। ওই রাতে ধর্ষণ করে প্রেমিক আরাফাত।
এসময় ওই কিশোরী কান্নাকাটি করলে ধর্ষক তাকে ফুসলিয়ে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ১১ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে নিয়ে আরাফাত মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফার বাড়িতে যায়।
খবর পেয়ে ওই কিশোরীর মা চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে জোর পূর্বক কিশোরী ও তার মাকে খালি স্ট্যাম্পে দস্তখত দিতে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান।
এরপর ১৩ জানুয়ারি ওই কিশোরী বাদি হয়ে মগনামা চেয়ারম্যান ও প্রেমিক আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেন। বাদি পক্ষের আইনজীবি শাহনেওয়াজ মূরাদ বাংলানিউজকে জানান, একজন জনপ্রতিনিধি ধর্ষকের পক্ষ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি জিএম মোহাম্মদ মোশারফ ভুইয়া বাংলানিউজকে বলেন, এখনো আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোন কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
টিটি/এমইউ/টিসি